উচ্চশিক্ষিত অনার্স মাস্টার্স করার পরে একটা ছেলে অথবা একটা মেয়ে পৃথিবীকে খুব কাছ থেকেই দেখতে পায়। অনেকের আব্বু আম্মু তাদের সন্তানের দিকে তাকিয়ে থাকে এই বুঝি ছেলেটা পড়াশুনা শেষ করল । হয়ত কিছুদিন পরেই ছেলেটা একটা ভ্লো চাকরী পাবে। কিন্তু শুধু সন্তানই জানে সে আসলেই দেশের চাকরির বাজারে কতটা ভূমিকা রাখে। একটা কথা যেন চীরন্তন সত্য হয়ে গেছে যে, সার্টফিকেটের পাশে মামা খালুও থাকতে হয় অন্যথায় এটার কোনো মুল্য নেই এই বাংলাদেশে।
বেকার শব্দটাকে একটা সময় নাটক চিনেমায় কিংবা কোনো উপন্যাসের পাতায় দেখা যেত। অথচ পড়ালেখা শেষ হতে ন হতেই সে বেকার শব্দটা নিজের মস্তিস্কের ডোপামিনে কেমন জানি সেটা হয়ে গেছে। একটা ছাত্র পড়াশুনা শেষে প্রায় অপরিচিত ছোট বড় সবার কাছ থেকেই একটা কমন প্রশ্নের উত্তর দিতে কষ্ট হয়। যেমন, কি কর তুমি?
যদি কোন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি থাকি,তখন বলা যায়, পড়ালেখা করি। যদিও পড়া লেখা করতে ইন্সটিটিউট এর প্রয়োজন হয় না।
আমরা কেমন জানি ছাত্রের সজ্ঞা বদলে পেলেছি। আমরা শুধু কোনো স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত থাকলেই নিজকে ছাত্র বলে দাবি করি। অথচ ছাত্র মানেই শুধু জ্ঞান অর্জন করা।
তাই যদি কোথাও না পড়ি, তখন যদি বলি কিছু করি না। তখন প্রশ্ন কর্তার অভিব্যাক্তি অবশ্যই ভালো দেখায় না। আর উত্তর যদি হয় জব করি, ঐ কম্পানিতে, তখন অবশ্যই অভিব্যাক্তি দারুণ দেখায় এবং কেমন একটা আপন আপন ভাবাবেগ প্রদর্শন করে।
ছোট বেলা থেকেই আমরা পড়তেছি যেন শুধু চাকরি করার জন্যই, যেন শুধুই অন্যের কাজ করার জন্যই নিজকে তৈরি করতেছি। কিন্তু চাকরি করা থেকে অনেক ভালো কিছু রয়েছে করার মত। চাকরি বলতে যদি বুঝায় টাকা উপার্যন করা।তবে সৎ ভাবে টাকা উপার্জন করার অনেক গুলো সুন্দর পথ রয়েছে।
চাকরি বলতে আপনি কি বুঝেন জানিনা কিন্তু আমি বুঝি যতক্ষন কাজ করা, ততক্ষনই টাকা। কাজ বন্ধ তো টাকা ও বন্ধ। আর মাসের শেষে একটা এমাউন্ট লিখা চেক। যা প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে যায়। মাসের বাকি দিন গুলো আবার এদিক ঐদিক আড়চোখে তাকিয়ে চলতে হয়।
আচ্ছা তখন কেমন হয় যদি সারাক্ষনই টাকা উপার্জন হতে থাকে? কাজ করলেও, কাজ না করলেও? সারাক্ষন উপার্জন করা কি অসম্ভব কিছু? না বন্ধু মোটেও না। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে টাকা উপার্জন করার অনেক অনেক গুলো সুন্দর পথ রয়েছে। ব্যবসা করা, ইনভেস্ট করা, ক্রিয়েটিভ কাজ করা যেমন ডিজাইনিং, ডেভেলপিং, লেখালেখি/ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, সহ আরো অনেক। আপনার সময়, ধৈর্য, আর মেধাকে বিনিয়োগ করেই এগুলো থেকে প্রচুর রয়ালিটি ইনকাম করতে পারেন।
এটা যেহেতু online money income করার কাজ তাই প্রথম প্রথম খুবই ধৈর্য নিয়ে সময় দিতে হয়। এর পর আর তেমন সময় না দিলেও চলে। এ যেন এক মৃত ছেলের কামাই। প্রথম যে সময় দিতে হয়, তা একটি চাকরির জন্য প্রিপ্রারেশন নেওয়া সময় থেকেও অনেক কম। অনেক কম কষ্টের এবং অনেক স্বাধীনতার। চাকরি করলে ত বসকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে নিজের বেতন বাড়বে না। বছরে দুই এক বার সামান্য কিছু বাড়ানো হয়। কিন্তু নিজের কাজ নিজে করলে ইচ্ছে করলেই বেতন বাড়িয়ে নেওয়া যায়। শুধু মাত্র পরিশ্রম একটু বাড়িয়ে দিলেই হয়।
একটা ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ট্রেনিং নেয়, বা অনেক গুলো বই পড়ে মাথা চুল হারায়, চোখ হারায় । অথচ ঐ বই বা ট্রেনিং চাকরি করার জন্য না নিয়ে নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য নিলে দারুণ কিছু নিজের জন্যই শেখা যেতো। যে গুলো কাজে লাগিয়ে আরো ভালো কিছু করা যায়।
চাকরি করলে মানুষের অভিজ্ঞতা একটা বিষয়ের উপর থাকে। একটা বিষয় নিয়েই নিজকে ব্যস্ত রাখে কিন্তু সব কিছুই দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। এক সময় নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে তখন নিজেকে আর উক্ত কাজের সাথে মানিয়ে নিতে পারে না। এতে অনেকেরই হয়তো চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। বাধ্য হয়ে কিংবা ব্যর্থ হয়ে।
সব সময়ই মনের মধ্যে একটা ভয় প্রবণ জিজ্ঞাসা থাকে, সব কিছু ঠিক মত হচ্ছে তো? চাকরি চলে যাবে না তো? বস রাগ করবে না তো? ইত্যাদি। অথচ নিজের কোন কাজ হলে এসব চিন্তা করার কোন মানেই হয় না। তখন শুধুই স্কিলের ঘ্রাণ শুনলেই নাক পেতে দিতে ইচ্ছে করে।
আচ্ছা, চাকরি কি মানুষকে ভিতু বানাতে সাহায্য করে না? মাস শেষে অল্প কিছু টাকা হাতে পায়। অনেকের হয়তো ঐ অল্প টাকাতেই হয়ে যায়। আবার কারো কারো অনেকের দ্বায়িত্ব নেওয়ার কারণে ঐ অল্পতে আর হয় না। যারা সৎ থাকতে পারে, তারা হয় বাড়তি কাজ করার চেষ্টা করে। টাকা উপার্জন করে শান্তির জন্য কিন্তু বাড়তি আয় করতে গিয়ে ভুলেই যায় শান্তিও যে জিবিত থাকে। আর যারা হেরে যায় সততার যুদ্ধে তারা অনেকেই নিজের সততাকে বিকিয়ে দেয়। নষ্ট করে মানুষের স্বাধীনতা। সবচেয়ে অমুল্য জিনিশ।
এছাড়া চাকরি করলে নিজের ইচ্ছে মত কখনোই ছুটি কাটানো যায় না। অনেক সময় দরকারের সময়ও ছুটি পাওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা ভালো একটা সুবিধে করতে পারে। এরা ঘরে বসেই online money income করেতে পারে। যখন দরকার তখন ছুটি কাটাতে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের ও সারাক্ষন কাজ করতে হয়। এক সপ্তাহ কাজ না করলে পরের সপ্তাহ খরচ করার মত টাকা থাকে না, যদি না সে আগে সেভ করে রাখে। আর সব থেকে ভালো পন্থা হচ্ছে একটা প্যাসিভ ইনকামের পথ তৈরি করা। যেখানে কাজ না করলেও একটা ইনকাম আসবে। তবে তার জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।
চাকরি করার প্রতি অবহেলা নয়। কিন্তু অনেকেই চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক কিছু করে। চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। এক অফিশ থেকে আরেক অফিশে সিভি জমা দিতে দিতে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে। এমনকি অনেকেই অসৎ পন্থাও অবল্বন করে। কিন্তু চাকরি করা থেকেও যে ভালো কিছু করা যায়, তা জানানোর জন্যই এ আমার এই লেখা।
অনেক গুলো পন্থার কথা লিখছি, চাকরি করা ছাড়াও করা যায়, সেগুলো নিয়ে লেখা যাক। প্রথমেই লিখছিলাম ব্যবসা করার কথা। সাধারণত পড়ালেখা শেষ করেই ব্যবসা করার ইচ্ছে সবার হয়ে উঠেনা। ব্যবসা অবশ্যই চাকরি করা থেকে ভালো। কিন্তু আপনি চাইলে নিজে সরাসরি ব্যবসা করার মত অভিজ্ঞতা না থাকলে যাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে, তাদের সাথে পার্টনার হয়ে ইনভেষ্ট করে অংশীদার হতে পারেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো যদি ইনভেস্ট করার মত টাকা না থাকে? তখন কি করব। হ্যা বন্ধু আরো অনেক গুলো পথ রয়েছে। অফলাইনে করার মত হয়তো অনেক গুলো পথ থাকতে পারে। যেহেতু অনলাইনের বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম তাই অপলাইনের বিষয় নিয়ে লিখছি না। অনলাইনে যে সব কাজ করা যেতে পারে, সেগুলো নিয়ে লিখছি। তার মধ্যে ডিজাইনিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং অন্যতম।
ডিজাইনিং: ডিজাইনিং শিখে নিজের করা ডিজাইন গুলো অনলাইনে অনেক গুলো সাইটেই আপলোড করা যায়। যে গুলো পরে বিক্রি হলে নিজের একাউন্টে টাকা জমা হতেই থাকে। প্রথম প্রথম হয়তো তেমন কোন টাকা আসবে না, কিন্তু এক সময় প্রতি মাসেই একটা ভালো রেভিনিউ আসতে থাকবে। যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। এরকম ডিজাইন সেল করার সাইটের মধ্যে http://graphicriver.net/ অন্যতম। এছাড়া এ লেখাটিও দেখা যেতে পারে। অনলাইনে ডিজাইন/গ্রাফিক্স সেল করার প্রায় ৪০টি সাইট রয়েছে।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ কন্টেন্ট বলতে আমরা গুগুলে যেসব লিখা পেয়ে থাকি এটাই কন্টেন্ট। কন্টেন্ট ছাড়া কোনো ওয়েবসাইটের মূল্য নেই। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো হয়ে থাকেন তাহলে আপনি মাত্র ৩০০ শব্দের একটা প্রোডাক্টস ডিস্ক্রেপশ লিখে ১দিনেই ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০টাকা ইনকাম করতী পারেন। কিভাবে কন্টেন্ট লিখতে হয় এই নিয়মে নেটে ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানা থাকলে ওয়েব সাইট তৈরি করা যেতে পারে। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ওয়েব সাইট তৈরি করে তা থেকে সহজেই আয় করা যায়। এডভার্টাইজ বা এফিলিয়েট এর মাধ্যমে। এখানেও প্রথম প্রথম কিছু দিন সময় দেওয়ার পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর ভালো রেভিনিউ আসতে থাকে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভালো ভাবে জানা থাকলে ওয়েব সাইটের জন্য টেমপ্লেট তৈরি করা যেতে পারে। যে গুলো সেল করে একটা ভালো রয়ালিটি ইনকাম জেনারেট করা যেতে পারে। এ ওয়েব টেমপ্লেট সেল করার উল্যেখযোগ্য সাইট হচ্ছে http://themeforest.net/ এরকম আরো অনেক গুলো রয়েছে অনলাইনে। একটু সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। যেমনঃ 10 Places to Sell Templates
ভিডিও তৈরি: নিজে কোন বিষয় দক্ষ হলে আরেক জনে কিভাবে তা শিখতে পারেন, তার ভিডিও তৈরি করে সহজেই রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। এর জন্য ইউটিউব সুন্দর একটি জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে Coursera এর মত অনেক ওয়েব সাইট, যেখানে কোন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে সেল করা যায়। ভিডিও তৈরি করা এমন কোন কঠিন কাজ নয়। আপনি ইউটিউব দেখে দেখেই শিখতে পারেন। যদি আপনার ইচ্ছে থাকে।
এছাড়া কোন একটা জায়গার ভিডিও করে তা থেকেও আয় করা যায়। আপনার এলাকার কোন জায়গার উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেখানে তো সবাই যেতে পারে না। অথবা এমন কিছু ঘটনা যা মানুষ জানেনা তার ভিডিও করেও ইনকাম করতে পারেন। আর তাই এমন ভিডিও তৈরি করে আপলোড করলেও ভালো কিছু করা যায়। কাজটা সিম্পল, কিন্ত রেভিনিউটা গর্জিয়াস।
সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট কাজ জানলে সফটওয়ার তৈরি করা যেতে পারে। ভালো আইডিয়া থাকলে এবং ভালো সফটওয়ার তৈরি করতে পারলে একটা সফটওয়ার থেকেই যথেষ্ট রেভিনিউ আসতে থাকবে। সব সময় যে বড় কোন প্রজেক্ট করতে হবে তা না, সিম্পল কিন্তু ইফেক্টিভ কিছু দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব। ক্রিয়েটিভ হলে ছোট খাটো কিন্তু কাজের সফটওয়ার তৈরি করা তেমন কঠিন কিছু না। প্রয়োজন শুধুই আপনার ক্রিয়েটিভিটি।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: এছাড়া এখন মোবাইল মার্কেট গুলোতে রয়েছে ভালো ক্যারিয়ার। এন্ড্রয়েড, আইফোন বা উইন্ডোজ ফোনের জন্য অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে। যে সময় ধরে মানুষ চাকরি খুজে, তার থেকে কম সময়ের মধ্যে এসব ডেভেলপমেন্ট স্কিল শেখা যায়। এক রাতেই মিলিনিয়ার হওয়ার মত অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর গল্প রয়েছে এই মোবাইল অ্যাপ নিয়ে। রয়ালিটি ইনকামের জন্য অ্যাপ সেলিং অবশ্যই সুন্দর এবং ভালো একটা পন্থা। সহজেই শেখা যায় এবং খুব দ্রুত রেভিনিউ জেনারেট করা যায়।
ফটোগ্রাফি: অনেকের কাছেই DSLR ক্যামেরা দেখা যায়। ক্যামেরা দিয়ে শুধু যে বিয়ে বা কোন জন্মদিনের পার্টির ফটোগ্রাফি করে আয় করা যায়, তা না। আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পথ রয়েছে। নিজের ফটো ব্লগ খুলে তা থেকে আয় করা যায়। কোন একটা বিষয় খুজে তার উপর ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। অনলাইনে অনেক গুলো সাইট রয়েছে ফটো সেল করার। যে গুলো দেখা যেতে পারে। যেমনঃ Top 10 sites to sell your photos online
Affiliate Marketing: Affiliate Marketing করে ও ভালো একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। তবে তো জানতে হবে কিভাবে করতে হয়! জানাটাও সহজ। কোন ইনিস্টিটিউটের দরকার পড়ে না এখন আর। Google এ গিয়ে সার্চ করলেই অনেক গুলো টিউটোরিয়াল হাজির হবে। একটা থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলেই আস্তে আস্তে শিখে নেওয়া যাবে। দরকার ধৈর্য্যের। কথায় আছে যা নেই যগতে তাও আছে গুগুলে।
লেখালেখি: লেখা লেখি সব সময়ই রয়ালিটি ইনকাম করার সুন্দর একটা পন্থা। ইনটারনেটের কারণে এটা আরো সহজ এবং ইফেক্টিভ। ওয়েব সাইট খুলে নিজের পছন্দের বিষয় এর উপর লিখলে এবং ওয়েব সাইটে অ্যাড দিয়ে সুন্দর একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা যেকোন খেলা, রান্না বান্না, বই এর রিভিউ, মুভি রিভিউ সহ যে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা যায়। একই সাইটকে ব্যবহার করা যায় Affiliate Marketing এর জন্য।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যে গুলো নিয়ে কাজ করা যায়। রিসার্সে একটু সময় দিলেই বের করা সম্ভব। খুজে বের করতে হবে নিজে কোনটাতে ভালো। নিজের কাছে কি ভালো লাগে। এছাড়া উপরের বিষয় গুলোতে নিজে নিজে কিছু করতে না পারলে অনেক কাজ পাওয়া যায়। যাকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং বলি আরকি!
নিজে নিজে প্রথম প্রথম কিছু না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের জ্ঞান বাড়িয়ে যাচাই করে জাগিয়ে তুলুন। এর পর নিজের কাজ নিজেই শুরু করলে সুন্দর একটা প্যাসিভ ইনকাম এর উৎস তৈরি হবে। তখন সব সময় কাজ করার চিন্তা না করলেও হবে। ২৪ ঘন্টাই নিজের একাউণ্টে টাকা জমা হতেই থাকবে। নিজে কোথায় থাকেন, ঘুরেন অথবা ঘুমান তা কোন ব্যাপার নয়। উপভোগ করা যাবে সুন্দর একটা জীবন, স্বাধীন জীবন। যেমন বাংলাদেশের খালিদ ফারহান উনি মাত্র ২৮বছর বয়সেই মিলিনিয়ার হয়ে গেছেন এই অনলাইনে আয় করে। বিশ্বের যত ধনী আছে তারা কোনো কোনো ভাবেই এই অনলাইনের মাধ্যমেই আজ ধনীদের তালিকায় তারকার মত মিটমিটিয়ে জলতেছে।







0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন