কিভাবে টাকা ইনকাম করব?kivabe taka income korbo):
সেই যে কলেজ লাইফ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করে আসছি আর এখন ত ভার্সিটি লাইফটাও শেষ। ঠিক এই পর্যায়ে এসে যদি কেউ প্রশ্ন করে যে,
ভাই আমি কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবো? অথবা আমার মোবাইলটা দিয়ে আমি কি নেট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবো?
অথবা টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো কি কি বলতে পারবেন?
আচ্ছা ভাই, রক্তের সাথে যেসব প্রশ্নগুলোর উত্তর মিশে থাকে সেসব প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারলে আমার আর স্বার্থকতা কোথায়?
ভ্রমণের ঘটে যাওয়া কোনো মজাদার কাহিনী যেমন সবাই বলে বেড়াতে পছন্দ করে তেমনি প্রিয় প্রশ্নের উত্তর গুলোও দিতে সমান আনন্দ পাওয়া যায়।
তাই আজকে আমি আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েই ছাড়বো । কারণ একসময় আমরা ৩বন্ধু মিলে আপনার মত এই অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় সমুহ জানার জন্য অনেক আগ্রহী ছিলাম। প্রতিদিন আমরা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে চাইতাম। কিন্তু সাজানো গুছানো ও সঠিক উত্তর না পাওয়ার কারণে আমার বাকি ২ বন্ধু হাল ছেড়ে দেয়। আমি নাচড়বান্দা হাল ছেড়ে দেইনি বলেই আজও সফলতার সাথে টিকে আছি এই অনলাইন যগতে।
আচ্ছা আপনি কেমন টাকা ইনকাম করতে চান?
১। মাসে ৪০,০০০ থেকে লক্ষ্য টাকার বেশি?
২। দৈনিক ৪০০ থেকে ১হাজার টাকার বেশি?
আপনার চাওয়া যদি ১নং হয় তাহলে আমার উত্তর একরকম হবে আর যদি ২ নংহয় তাহলেও উত্তর আছে।
আমি ধরে নিলাম আপনি প্রথমেই ১নংটা জানতে চাচ্ছেন।
তাহলে অভিনন্দন আপনাকে। কারণ আপনি অনলাইনের ইনকাম দিয়ে বাড়িগাড়ী করতে যাচ্ছেন, আর তাই আমি বিশ্বাস করি আপনার ভিতরও অবশ্যই ধৈর্য ও সময় নিয়ে কাজ করার প্রচুর উদ্দিপনা আছে।
যদিও মাসে লক্ষটাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে কিন্তু আমি আপনাকে একদম আমার নিজের পরিচিত কয়েকটি উপায়ের কথা বলে দিচ্ছি।
১। Affiliate Marketing: এই মার্কেটিং এর নাম শুনেছেন নিশ্চই। হ্যাঁ ঠিকিই শুনেছেন, শুধু Affiliate Marketing করেও ভালো একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। তবে তো জানতে হবে কিভাবে করতে হয়! জানাটাও সহজ। কোন ইনিস্টিটিউটের দরকার পড়ে না এখন আর। Google এ গিয়ে সার্চ করলেই অনেক গুলো টিউটোরিয়াল হাজির হবে। একটা থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলেই আস্তে আস্তে শিখে নেওয়া যাবে। দরকার ধৈর্য্যের। কথায় আছে যা নেই যগতে তাও আছে গুগুলে।
২। ডিজাইনিং:ডিজানিং এর মাধ্যমে মানুষ তার ক্রিয়েটিভিটির বহিঃপ্রকাশ করার সুযোগ পায়। ডিজাইনিং শিখে নিজের করা ডিজাইন গুলো অনলাইনে কয়েকটি সাইটে আপলোড করা যায়। যে গুলো পরে বিক্রি হলে নিজের একাউন্টে টাকা জমা হতেই থাকে। প্রথম প্রথম হয়তো তেমন কোন টাকা আসবে না, কিন্তু এক সময় প্রতি মাসেই একটা ভালো রেভিনিউ আসতে থাকবে। আপনি তখন কাজও করা লাগবেনা, আপনি ঘুমাচ্ছেন কিন্তু ওপাশ থেকে আপনার একাউন্টে টাকা আসতেই আছে, যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। এরকম ডিজাইন সেল করার সাইটের মধ্যে http://graphicriver.net/ অন্যতম। এছাড়া এ লেখাটিও দেখা যেতে পারে। অনলাইনে ডিজাইন/গ্রাফিক্স সেল করার প্রায় ৪০টি সাইট রয়েছে।
৩।
৩।কন্টেন্ট রাইটিংঃ কন্টেন্ট বলতে আমরা গুগুলে যেসব লিখা পেয়ে থাকি এটাই কন্টেন্ট। কন্টেন্ট ছাড়া কোনো ওয়েবসাইটের মূল্য নেই। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো হয়ে থাকেন তাহলে আপনি মাত্র ৩০০ শব্দের একটা প্রোডাক্টস ডিস্ক্রেপশ লিখে ১দিনেই ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আর যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে মাস ভিত্তিক হয়ে কাজ করতে থাকেন তাহলে ত আপনি আর আপনি থাকবেন না, হয়ে যাবেন একজন সফল ব্যক্তি। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে কন্টেন্ট লিখতে হয়? হ্যাঁ বন্ধু, এই নিয়েও নেটে ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন।
৪।ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: বর্তমানে ত এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি একবার সার্চ করে দেখুন হাজার হাজার ভিডিও পাবেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানা থাকলে ওয়েব সাইট তৈরি করা যেতে পারে। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ওয়েব সাইট তৈরি করে তা থেকে সহজেই আয় করা যায়। এডভার্টাইজ বা এফিলিয়েট এর মাধ্যমে ওয়এবসাইটটি হয়ে যায় টাকার মেশিন। এখানেও প্রথম প্রথম কিছু দিন সময় দেওয়ার পর একটা নির্দিষ্ট সময় শেষে ভালো রেভিনিউ আসতে থাকে। আপনি উপার্জনের অক্ষম হয়ে গেলেও এই ডেভেলপমেন্ট থেকে আপনার ইনকাম হতেই থাকবে।
হ্যাঁ , আপনার মনে হতেই পারে আমি একটু বাড়িয়েই বলছি । প্রথম অবস্থায় আমারও এমনটা মনে হয়েছিল। না ভাই মোটেই না, আমি বাড়িয়ে বলতে যাবো কোন দুঃখে ?
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভালো ভাবে জানা থাকলে ওয়েব সাইটের জন্য টেমপ্লেট তৈরি করা যেতে পারে। যে গুলো সেল করে একটা ভালো রয়ালিটি ইনকাম জেনারেট করা যেতে পারে। এ ওয়েব টেমপ্লেট সেল করার উল্যেখযোগ্য সাইট হচ্ছে http://themeforest.net/ এরকম আরো অনেক গুলো রয়েছে অনলাইনে। একটু সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। যেমনঃ 10 Places to Sell Templates
৫। ভিডিও তৈরি: নিজে কোন বিষয় দক্ষ হলে আরেক জনে কিভাবে তা শিখাতে পারেন, তার ভিডিও তৈরি করে সহজেই রেভিনিউ করতে পারেন। এর জন্য ইউটিউব সুন্দর একটি জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে Coursera এর মত অনেক ওয়েব সাইট, যেখানে কোন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে একটি ভালো দামে বিক্রি করা করা যায়। ভিডিও তৈরি করা এমন কোন কঠিন কাজ নয়। আপনি ইউটিউব দেখে দেখেই শিখতে পারেন। যদি আপনার ইচ্ছে থাকে।
এছাড়া কোন একটা জায়গার ভিডিও করে তা থেকেও আয় করা যায়। আপনার এলাকার কোন জায়গার উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেখানে তো সবাই যেতে পারে না। অথবা এমন কিছু ঘটনা যা মানুষ জানেনা তার ভিডিও করেও ইনকাম করতে পারেন। আর তাই এমন ভিডিও তৈরি করে আপলোড করলেও ভালো কিছু করা যায়। কাজটা সিম্পল, কিন্ত রেভিনিউটা গর্জিয়াস। যদিও বর্তমানে এটি খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কারণ কম্পিটিটর বেশি।
৬। সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট কাজ জানলে সফটওয়ার তৈরি করা আপনার জন্য একেবারেই সহজ। ভালো আইডিয়া থাকলে এবং ভালো সফটওয়ার তৈরি করতে পারলে একটা সফটওয়ার থেকেই যথেষ্ট রেভিনিউ আসতে থাকবে। সব সময় যে বড় কোন প্রজেক্ট করতে হবে তা না, সিম্পল কিন্তু ইফেক্টিভ কিছু দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব। ক্রিয়েটিভ হলে ছোট খাটো কিন্তু কাজের সফটওয়ার তৈরি করা তেমন কঠিন কিছু না। প্রয়োজন শুধুই আপনার ক্রিয়েটিভিটি। তারপরে আসি,
৭। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: এছাড়াও এখন মোবাইল মার্কেট গুলোতে রয়েছে ভালো ক্যারিয়ার যদি আপনি স্মার্ট হয়ে কাজ করতে চান তাহলে এটাই আপনার জন্য। এন্ড্রয়েড, আইফোন বা উইন্ডোজ ফোনের জন্য অ্যাপ তৈরি করা যায়। যে সময় ধরে মানুষ চাকরি খুজে, তার থেকে কম সময়ের মধ্যে এসব ডেভেলপমেন্ট স্কিল শেখা যায়। এক রাতেই মিলিনিয়ার হওয়ার মত অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর গল্প রয়েছে এই মোবাইল অ্যাপ নিয়ে। রয়ালিটি ইনকামের জন্য অ্যাপ সেলিং অবশ্যই সুন্দর এবং ভালো একটা পন্থা। সহজেই শেখা যায় এবং খুব দ্রুত রেভিনিউ জেনারেট করা যায়।
৮। ফটোগ্রাফি: অনেকের কাছেই DSLR ক্যামেরা দেখা যায়। ক্যামেরা দিয়ে শুধু যে বিয়ে বা কোন জন্মদিনের পার্টির ফটোগ্রাফি করে আয় করা যায়, তা না। আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পথ রয়েছে। নিজের ফটো ব্লগ খুলে তা থেকে আয় করা যায়। কোন একটা বিষয় খুজে তার উপর ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। অনলাইনে অনেক গুলো সাইট রয়েছে ফটো সেল করার। যে গুলো দেখা যেতে পারে।
৯। লেখালেখি: লেখা লেখি সব সময়ই রয়ালিটি ইনকাম করার সুন্দর একটা পন্থা। ইনটারনেটের কারণে এটা আরো সহজ এবং ইফেক্টিভ। ওয়েব সাইট খুলে নিজের পছন্দের বিষয় এর উপর লিখলে এবং ওয়েব সাইটে অ্যাড দিয়ে সুন্দর একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা যেকোন খেলা, রান্না বান্না, বই এর রিভিউ, মুভি রিভিউ সহ যে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা যায়। একই সাইটকে ব্যবহার করা যায় Affiliate Marketing এর জন্য।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যে গুলো নিয়ে কাজ করা যায়। রিসার্সে একটু সময় দিলেই বের করা সম্ভব। খুজে বের করতে হবে নিজে কোনটাতে ভালো। নিজের কাছে কি ভালো লাগে। এছাড়া উপরের বিষয় গুলোতে নিজে নিজে কিছু করতে না পারলে অনেক কাজ পাওয়া যায়। যাকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং বলি আরকি!
১০। প্রিন্ট-অন-ডিমান্ডঃ হুড় হুড় করে এই উপায়টির চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। এই চাহিদা কখনোই কমবে না। যতদিন টি-শার্ট বিজনেস, জুয়েলারি বিজনেস মুলত ডিজাইনিং বিজনেস থাকবে ততদিন এ টাকা ইনকাম করার উপায়টিও থাকবে।
আপনি বিভিন্ন ধরনের নকশা দেখে দেখে নিজের মত করে নতুন নতুন ডিজাইন করে সেগুলো ইন্সটগ্রামে আপলোড বা প্রচার করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
নিজে নিজে প্রথম প্রথম কিছু না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের জ্ঞান বাড়িয়ে যাচাই করে জাগিয়ে তুলুন। এর পর নিজের কাজ নিজেই শুরু করলে সুন্দর একটা প্যাসিভ ইনকাম এর উৎস তৈরি হবে। তখন সব সময় কাজ করার চিন্তা না করলেও হবে। ২৪ ঘন্টাই নিজের একাউণ্টে টাকা জমা হতেই থাকবে। নিজে কোথায় থাকেন, ঘুরেন অথবা ঘুমান তা কোন ব্যাপার নয়। উপভোগ করা যাবে সুন্দর একটা জীবন, স্বাধীন জীবন। যেমন বাংলাদেশের খালিদ ফারহান উনি মাত্র ২৮বছর বয়সেই মিলিনিয়ার হয়ে গেছেন এই অনলাইনে আয় করে। বিশ্বের যত ধনী আছে তারা কোনো কোনো ভাবেই এই অনলাইনের মাধ্যমেই আজ ধনীদের তালিকায় তারকার মত মিটমিটিয়ে জলতেছে।
উপরের ১০টি উপায় থেকে যেটি আপনার ভালো লাগে সেটিতে বেশ কয়েকদিন লেগে থাকুন, আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি একদিন আপনিও হয়ে যাবেন একজন ভালো অনলাইন গেইনার।
এবার আসি ২নং প্রশ্নে উত্তরের পাতায়।
দৈনিক টাকা ইনকাম করার এমন কয়েকটি লুকানো উপায় আছে কিন্তু কম্পিটিটর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় যা স্বভাবত অনেই বলতে চায়না।
তাদের মধ্যে একটি হলো
১।অনলাইনে আয় বিকাশে পেমেন্ট অথবা বিকাশে টাকা ইনকামঃ
প্রতিদিন অনলাইন থেকে আয় করে দিনের টাকা দিনেই নিজের হাতে পেতে চাইলে আর দেরি না করে ঠিক এখন থেকেই শুরু করে দিন।
বর্তমানে কোনো প্রকার টাকা ইনভেস্ট না করেই হাতের মোবাইলটার মাধ্যমে আপনিও নগদ টাকা জেনারেট করতে পারবেন।
যেসব উপায়ে নগদ টাকা আয় করবেনঃ
১ঃ বিকাশ এপস রেফারেল লিংক এর মাধ্যমেঃ খুব সহজ করে বললে নতুন রূপে আসা এই অ্যাপ ব্যবহারে আপনার মত অন্যকেও উৎসাহিত করেই নিজের আয়ের পথ তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে হাজারো মানুষ তাদের প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করেই বাড়তি আয় করে যাচ্ছেন।
বিকাশ রেফার ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, কেউ আগ্রহী হলে বিকাশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং ম্যাসেঞ্জারে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধিত হওয়ার পর প্রত্যেকে একটি নম্বরসহ রেফারেল লিংক পাবেন।
যে রেফারেল লিংকটা পেলেন তা অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন তিনি। পরবর্তীতে যদি কেউ ঐ রেফারেল লিংক ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খোলে বা বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে তাহলে যিনি রেফার করেছেন তিনি বোনাস পাবেন। একটি একাউন্ট খোলার জন্য ২৫ টাকা, অ্যাপ ডাউনলোডে ২৫ টাকা পাবেন রেফারকারী।
২ নগদ এপস হতে আয়ঃ
বিকাশ এপসের মত নগদ এপসেরও একটি রেফারেল লিংক রয়েছে যা অন্য কাউকে রেফার করে বিকাশের চেয়েও দৈনিক ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৩ রিভিউ লিখে আয়ঃ
রিভিউ মানেই কোনো পণ্য কিংবা কোনো অনলাইন কোর্স এর সুবিধে-অসুবিধেগুলি নিয়ে লিখবেন, যা পড়ে পাঠকেরা সেটা কিনতে গদ্গদ মনে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
অর্থাৎ আপনি ঐ পণ্য বা কোর্স সম্পর্কে এমনভাবে লিখবেন যাতে কাস্টমার আপনার রিভিউটা পড়েই উক্ত পণ্যটি ক্রয় করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। মুল উদ্দেশ্য এটাই। ঠিক এই এজন্যই সারাবিশ্বে অনলাইনের বিভিন্ন পণ্যের মালিক হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে যাচ্ছেন যা আপনার মতই কেউনা কেউ হাতিয়ে নিচ্ছে। আপনি হয়ত বাজারে আসতে যাওয়া মোবাইল ফোন কিংবা ক্যামেরার বিস্তারিত বর্ননা দেখে অবাক হয়ে ভেবেছেন, আরে, ওটা বাজারে আসবে ৬ মাস পর। এখনই ওটার বর্ননা লেখা হল কিভাবে!
আচ্ছা আপনার কথাই ধরা যাক, আপনি যদি এই মূহুর্তে অনলাইন থেকে কোনো কিছু ক্রয় করতে চান আপনি অবশ্যই উক্ত পণ্যের রিভিউ দেখে সত্য মিথ্যা যাচাই করেই কিনবেন।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন রিভিউ এর কার্যকরি প্রভাব কতটুকু।
তাহলে ভাবুন ত যারা এই রিভিউ লিখে থাকেন তাদের কি পরিমাণ চাহিদা।
হ্যাঁ রিভিউ লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই লিখার মাধ্যমে কিভাবে মানুষের হৃদয় অর্জন করা হয় সেটা শিখতে হবে। যাস্ট এটাই আপনার ইনভেস্ট আর কিছুই লাগবেনা।
এখন আপনার মনে যদি প্রশ্ন যাগে যে এই কাজ কিভাবে পেতে পারি?
তাহলে শুনুন।
এই কাজ পাওয়ার অনেকগুলো পদ্ধতির মধ্যে একটি পদ্ধতি হচ্ছে যারা এধরনের কাজের জন্য ভাড়াকরা লেখক খোজ করে তাদের সাথে কন্টাক্ট করা। যেমন গুগুলে গিয়ে copywriting, review writing ইত্যাদি লিখে সার্চ করলে এধরনের অনেক সাইট পাবেন। আপনাকে তাদের সদস্য হতে হবে।
এমনকি বর্তমানে odesk, freelancer ইত্যাদি যায়গায় বহু কাজ পাওয়া যায় সবসময়। এখানে পাওয়া রিভিউ লেখা তুলনামুলক সহজ, সেইসাথে আয়ও কম।
আরেক পদ্ধতি হতে পারে কোনো ওয়েবসাইটে রিভিউ লেখা। এধরনের রিভিউ-য়ে আয় বেশি। প্রতি রিভিউ এর জন্য ২০ ডলার থেকে কয়েকশ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। আর শর্ত হচ্ছে আপনাকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মালিক হতে হবে। সেখানে দিনে অন্তত ১০০০ ভিজিট থাকতে হবে।
৩। Bikroy.com থেকে আয়ঃ অন্যের থেকে ভালো জিনিষ কম দামে ক্রয় করে এরচেয়ে ডাবল দামে বিক্রয় করার জন্য এই ফ্লাটফর্মটাই বেস্ট।
ঠিক এখানে এসেই মনে পড়ে গেল সেই প্রবাদের কথা যে “ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়”। মানুষের যদি আসলেই বুদ্ধি খাটিয়ে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে থাকে তাহলে কাউকেই আর বেকারত্ত্বের তালিকায় নাম লিখানোর দরকার হয়না।
বিক্রয় ডট কম থেকে যে টাকা ইনকাম করা যায় আসলে অনেকেই জানেনা।
প্রতিদিনই লোকজন নতুন নতুন জিনিষপত্র ক্রয় করে আর তাই বিক্রি করে দিতে চায় পুরোনো গুলো। আর এজন্যই বিক্রয় ডট কমে বিক্রির জন্যে প্রতিদিন শত শত বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হয়। পুরনো ল্যাপটপ বিক্রি করার জন্যে বিজ্ঞাপন দেয়। আবার কেউ তার পুরনো কিংবা সদ্য কেনা স্মার্টফোন বিক্রি করতে চায়, যার জন্যে বিজ্ঞাপন দেয়। কম্পিউটার, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে সব ধরণের ইলেকট্রোনিক পণ্যের পাশাপাশি হাজারো রকমের জিনিস-পত্র বিক্রির জন্যে বিক্রয় ডট কমে বিজ্ঞাপন দেখা যায়।
আপনার কাজ এইসব বিজ্ঞাপন দেখে ভাল করে যাছাই বাছাই করে পণ্যগুলো সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করা । এরপর এগুলো পূনরায় বেশি দামে বিক্রি করা। আর সেখান থেকেই অর্জিত হবে আপনার আয়।
এক্ষেত্রে একটা বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে, bikroy.com থেকে কম দামে ক্রয় সেগুলোকে “ক্রয়-বিক্রয় ডট কম” ‘সেল বাজার ডট কম’ এর মত অন্যান্য ওয়েবসাইটে বিক্রি করে দেওয়া।
অর্থাৎ যেখান থেকে ক্রয় করেছেন সেখানে বিক্রি না করে অন্য ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারলে নির্ভেজালে আয় করতে পারেন।
২।গেম খেলে টাকা ইনকাম: আপনি যদি গেইম পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই পছন্দকে কাজে লাগিয়েই দৈনিক ৫০ থেকে ১৫০ ডলার ইনকাম করতে নিয়মগুলো জেনে নিন।
কোনো প্রকার ভুমিকা না করেই আপনাকে সরাসরি নিয়মগুলো জানিয়ে দিতে চাই, কারণ আমার আর তর সইছে না গো।
গেইম জগতের পাড়ায় পাড়ায় ,কানায় কানায় গেইমে ভরপুর এত্ত বিপুল গেইম থেকে আপনার জন্য খুবই কার্যকরি কয়েকটা গেইমস নিয়ে বসে আছি।
নাম্বার ১ InboxDollars
নামটা শুনেই কেমন একটা ফিল হচ্ছেনা? মনে হচ্ছে এই বুঝি ইনবক্সে টাকা চলে আসছে।
হুম অবশ্যই আসবে। এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে অনলাইনে গেম খেলে কিছু নগদ উপার্জন করার সুযোগ দিচ্ছে। আপনাকে যা করতে হবে তা হ’ল ইনবক্সডোলারগুলিতে বিনা ব্যয়ে সাইন আপ করা এবং সরাসরি গেম খেলতে শুরু করা। ওয়েবসাইটটি আপনাকে বেছে নেওয়া এবং খেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের গেম সরবরাহ করবে। আপনি শুরু করার সাথে সাথে প্রতিদিন 10 ডলার উপার্জন করতে পারবেন।
•
২। পয়েন্ট ক্লাব
পয়েন্ট ক্লাবটি একটি জনপ্রিয় সমীক্ষা প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে দিয়ে অনলাইনে গেম খেলার মাধ্যমে, তাদের কিছু জরিপ চালিয়ে নেবে এবং আরো বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পন্ন করার জন্য অর্থ প্রদান করে। এখানে একটি বৈধ ইমেল ঠিকানা থাকতে হবে এবং আপনার বয়স ১৩ বছরের কম হতে পারবেনা। সদস্যরা প্রাথমিকভাবে সাইন আপ করার জন্য শুভেচ্ছস্বরুপ 5 ডলার পেয়ে থাকেন।
Gamesville
এটি ইন্টারনেটে প্রথম এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় বিনামূল্যে ওয়েব-ভিত্তিক গেমিং ওয়েবসাইট হিসাবে বিবেচিত। গেম খেলতে এবং জিততে, উচ্চ স্কোর এবং স্লট পাওয়ার জন্য আপনি GB পুরষ্কার পাবেন। তারপরে আপনাকে আপনার জিভি পুরষ্কারগুলি নগদ এবং অন্যান্য উত্তেজনাপূর্ণ পুরষ্কারগুলিতে রূপান্তর করার অনুমতি দেওয়া হবে। গেমসভিলে জিভি পুরষ্কার অর্জন করতে চান না এমন ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে নগদ টাকার সূবর্ণ ব্যবস্থা।
এছাড়াও আপনি চাইলে ubar, pathao, sohoj ,obhai এইসব এপস অথবা ওয়েবসাইটগুলো থেকে দৈনিক হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন।






